
রঞ্জন মৈত্র
১। ক্যালেন্ডার পেরিয়ে
ওলটানো পাতাগুলো সোজা হয়ে গেলে
দেখি, প্রচ্ছদের কতদূরে এক হাতঘড়ি
নজর আন্দাজ ভুল প্রিন্টার্স লাইনে
ঠান্ডা হয়ে এলো নাকি ৫ই অক্টোবর
এটা ছাদ ওটা নিরাপত্তা মলাট
লেপচা জগৎ থেকে ঝোলে সুতো
নড়ে চড়ে ওড়না পল্লব
গাছের কবিতা পড়ি
লাইন পেরিয়ে চির কলোনীটি পড়ি
দুটি পড়ি পরপর!
ব্যথা করে ফোনেটিকসের কান
সুতো ছেড়ে চলে যায় কারেকশনের চাঁদিয়াল
পেজমার্ক ক্যালেন্ডার শেষ পড়া কোটেবল পাঁতি
সমস্ত পুড়িয়ে ঘর গরম করেছি
শুরু থেকে পাঁচ তারিখ পড়ব ফের
সূচিপত্র থেকে দূরে রয়েছে তো কাঁকড়া ও বকখালি
২। তুফান-১
ঝড় হলে অন্ধকারও হয়
দূরের পাওয়ার খসে চোখ থেকে
শব্দের অনর্থে ছেঁড়ে যোগাযোগ জাল
কোথাও জলতরঙ্গে রাগ মীনধ্বনি
কোথাও মরণোত্তর গান করছেন মান্না দে
বিপ্লবকে ঝড় ভাবা একটা পথ
পতাকাকে প্রেম ভাবা আরেকটা
কারেন্ট না থাকলেও স্পার্ক করে মানুষের দেশ
এসো আমার ঘরে এসো সুধন্যখালির বাঘ
এসো যে হুঙ্কার স্রেফ লোনাজলে ভেসে যায়
শুয়ে আছে সুপারি আর বটগাছ
ফ্যাকাশে চোখ তাদের মাদারবোর্ড, পোর্ট, হলদিয়া।
খর বেগে চিঠি চালাচালি
রুমাল ও শরীর ওড়ানো তুফান
দীর্ঘজীবী নয় বলেই সে ইনকিলাব
চির-চাওয়া নিম্নচাপ ঘনীভূত না-দেখা সাগরে
মোরে আরও আরও দাও সাইক্লোন
আলো এলেই সংগে সুমনও আসবে
১৩০ কিমি বেগের ভালবাসা স্রেফ পোস্ট এডিট হয়ে যাবে
৩। তুফান-২
ঘর উড়ে গেলে
ত্রাণ ত্রাণ করে ছোটাছুটি করে হাওয়া
কবে বিয়ে হয়ে গেছে ঝড়ুর
পরদেশে ঝড় থেমে গেছে
একপাশে ভাঙা দ্রুম অন্যপাশে নবীন বিডিও
আলো নেই পূর্বস্থলীতে
দীর্ঘ নির্জলা রিচি রোড
ত্রাণ ত্রাণ করে যে উড়ছে
দূর দূর অব্দি ঢেউ পঞ্চায়েত মিউনিসিপ্যালিটি
নৈহার ছেড়ে যাচ্ছে
বাবুল মোরা কতদিন ভাবিনি তোমায়
ভাষাকে ভাঙিনি কতকাল
রাতভর ঘরের গোঙানি
শিকড় শুদ্ধু ওপড়ানো শ্রমিকের গায়ে ভোর পড়ল
কতদিন হাঁটতে নেমে ভোরকে ভাঙিনি
বাঁধ ভেঙে জল আসে ইতিহাসও আসে
ভেসে যায় তোমার বিয়ের কার্ড পাথরপ্রতিমা