
যাদব দত্ত
১. খোলা রেখাগুলি
ভাতের ধোঁয়া উঁচু নিচু
কিন্তু পিঁড়িতে বসবে
তার আদরের আঙুলে আছি
ওই থাইবন বেহালা কাঠ
ঝরঝরে জুনের মধুমঙ্গল
আমার স্কার্ফ বুকে একটাই নদী
পেটি ইলিশ খুচরো নৌকো আর
রুম সার্ভিসে ফুটোরোদ
পংক্তি ছাড়া বাকি সব মৃদু হলুদ
চোখ ও জলের জন্য
সেই বইগুলো কিলবিল করে ওঠে
জলভার নম্র বাসবদত্তায়
ধানগাছগুলোর থামের আড়ালে
কষ্ট হয়
গার্ডের অলীক বাঁশি সিজন বোঝে না
খোঁজে ঠোঁট নেড়ে দেওয়া হাওয়া
সমুদ্র আর বিগবাজার পেরিয়ে
ভিনিগার মেশা বোতামের ঘর
সত্যিই আসবে
খোলা রেখাগুলির পা ফেলে
২. পুরুষ
ডায়াসের ওই পুরুষটি
চোখ ডাস্টার আর মেঘের নেশার
বৃষ্টি ওর পিঠ পেরিয়ে যায়
উগ্র জিভ ঘুমন্ত ফল হয়
আর শাঁখের করাত দিয়ে ভাগ করো
তার একলা আলোটিও
যে বসে আছে
ডোরবেল মুগ্ধ লেবু চাষে
তার স্বাস্থ্য বৃষ্টির দিকে
ঠিকানা খোঁজে টুপটাপ
সরে আসা নোলকগ্রাম
যেন ওই নার্স ক্লাব
পতনের জন্ম ধুয়ে দেবে
আর পিঠের ছায়াকে
নিয়ে যাবে মাঝরাত দরজা সমেত
৩. নদী নদী
নদী যে সফল ঘর
একশো একশো ফারেনহাইট
তার চিলেকোঠা
লালব্লাউসের তুমুল বাগান
নিষ্ঠুর তার কেঁপে ওঠা
খামোশ সেলাই তার মায়া
হেম চোখ আতাফলের
আমাদের সভ্যতা নদী থেকেই
গড়িয়েছে বিকেল অবধি
আর খোলা চুলের সহজপাঠ
জল থেকেই এসেছে
আগুন নিভু দেহ
বিলম্বে রোদটানা ভায়োলিন
পরম গোড়ালি থেকে পাখি খোলো
নাকের কালো তিল ধরে জ্ঞানদাস খোলো
জ্বর ফর্সা হয়ে উঠবে
আঁখমাড়াই করে
৪. নদী ঋণ
দেওয়ালগুলো পুঁতে চলেছি
আর কালো টিপ নদী হয়ে যায়
চোখপাতার জল হচ্ছে ঝাপসা
দূরে যাওয়ার পোশাক এই
আইসক্রিম হয়ে যে সিঁড়িতে উঠে যেতাম
একবুক ধারা আর জলের গিঁট খুলতে
ছিটকিনির পর বিনুনিও খুলছে চোখ
মাথাভর্তি এমনই ছিল গড়পড়তা গুঞ্জন
টমাটো স্যুপ থেকে ধোঁয়া খুলছে শুধু
হাতের রেখা থেকে খুলছে অন্ধকার
তবু চমকে উঠলো না সাদা গ্লাস
ঠোঁট দিয়েছি মখমলে
দাঁত দিইনি তো সাদা বন্ধু জাহাজ