
প্রদীপ চক্রবর্তী
রাজকর
এক •
এতো ফুল্ল হয় , এতো নীল , বিষতেষ্টা পায় তবু
কষ্টপালক , আমাকেও হত্যা করো
মেষ ভেঙে গেছে প্রান্তরে
সাপের পাকদন্ডি মাখে কিছু ফুল
জ্যোৎস্নাকালীন তরঙ্গ সংঘারামে
স্বয়ম্ভু কীটের শরীর
জলের অনেকটা সময় জ্বলছে নদীর ভেতর
বিমোহিত ভেষজ , বিমূর্ত শরীরী বিন্যাসে
জন্মাবধি দর্প ভরে দাঁড়িয়েছে ষোড়শীর
প্রথম বাঘ
ভাঙনের দহনব্যতীত উজানের দৈব তরুতলে
শতভিষার শস্যভ্রষ্ট পাখি আজ
আরূঢ়া রজঃস্বলা
শেষ রোদের আগাছা মাখানো সাঁজোয়া চলেছে
ময়ূরের ছায়াচ্ছন্ন বাড়িটির মধ্যে যার বাস
বাঙলার অনাবিল নিরন্ন ঘুঘুদের মন্ত্রী টন্ত্রী •••
দুই •
নির্মোকের মতো অরব শীতাণুমিশ্রিত রোদে
ভেসে যায় অশ্বারোহী
দেহজ বিষ টেনে নিয়ে বসে পড়ি
একটু উত্থানের অন্ধকার
লক্ষ্যভেদী মধ্যমার ফাঁকে
খোলা আকাশ বিষয়ক বই চাই ,
চাই নানারঙের টানা ও পোড়েন
বিকল্প হেমন্তিকায় যামিনীবাহিনী রুষে আছে
বনজফুলের মনোহারি দ্রব্যের পুরোনো বরিহায়
লক্ষ্মীর ঘট ভেঙে উঠে আসে
শরীর বিষয়ক ভোগঘর
নিকষ চুল্লির অমীমাংসিত জগৎপুর
আগুনে উবু হয়ে বসে ডোম
কয়েকটি ভৌতিক ঘোড়া
দু ‘একটা শব্দভেদী নীল বহির্ভূত তোলাবাজার
তিন •
শিহর দূরে পরিখা বানিয়ে রেখেছো ,
অন্ধকারের রশ্মি চুঁইয়ে পড়লে
অনায়াসে খুলে যায়
যে সূক্ষ্ম সুতোটি হাড়কে কঙ্কালে বেঁধে রাখে
ঘূর্ণমান দিনাতিপাতের পর ফুল ফোটে ,
ফুলকি লোহার
স্বভাবত সহজ এক অতীত সাহেবি ফিটন
আর থামে না এখানে
শরীর ছিল বিগত ত্রিভুজের তিনটি কোণ , সূত্র ,
থিয়োরেম •••
ভিড়ের মধ্যে সর্বস্ব হারিয়ে ‘ হ্লাদিনী ‘ শব্দের মানে মনস্তাপে সাজানো , অঙ্গীকৃত , রহস্যে
রূপের ভঙ্গি কখন গড়িয়ে আসে পেয়ালায়
শিহর দৃশ্যরা উবে অন্য কোথাও জন্মাতে যাচ্ছে
জল একটা বাড়ি বানাতে চায়
মধুপোড়া ছলাকলা চাইছো ছড়িয়ে যেতে , আহিরভৈরোঁর সুরে জড়ানো মাংসের ধূপছায়া
ওর জন্য যত্নে তুলে রাখো •••