
সোমনাথ ঘোষাল
উজবুক:৬
উঁচু হয়ে থাকা জলের
আর্দ্রতায় গ্রামোফোন
তোমার পরিচিত হচ্ছে
কোনো ডাকটিকিটে লেখা
মানুষের শব্দখানা চিৎ ঘুম
তালা ঝুলিয়ে রাখা
আমাদের বন্ধ অঞ্চলের দিকে
চোখ বুলিয়ে নেয় আঙুল
পোয়াতিদের টানা টানা জিভ
বেঘোরে জড়ো করছি নিজস্ব
ছালচামড়া আর গুটিকয়েক
তোমার ঘনত্ব রাতের আঁশ
নিছক জলের দাঁড়ি টেনে যায়
মাছ আঁকা অপেক্ষা…
উজবুক:৭
কারা যেন রাত দিয়ে রাখে
লোমকূপের ভেতর শুয়ে থাকা
মরা পোশাকের বোতামে
রাস্তার ধারে গোলানো আলো
বমি বমি ভাব নেশার ফাটা
ছেলেটার মুখে মুতে দিচ্ছে
ভাঙাচোরা স্লোগান কুকুর
না, হাসপাতালের গা চেটে বেড়ে ওঠা কোনো লাশের গন্ধ নয়, ওর শরীর জুড়ে লেগে আছে ধোঁয়াটে গর্ত
এখানে বাড়তেই পারে কোনো
খোলস ছড়ানো মরা পোশাক
যে প্রতিদিন একটানা
রাত গুলে খায় বোতামঘরে
উজবুক : ৮
গুঁড়ো গুঁড়ো মানুষের ছাপ রেখে যাচ্ছে ভেজা দোকান
তালুতে দূরত্ব মাপার জ্বর
স্থবির কাটায় মুহূর্ত পর্যন্ত
সেই বুকঘষা চোখের গুলি
তুমি দৃশ্যমান
লরির চাকায় মৃত ঈশ্বর
চাঁদের হৃদপিণ্ড দিয়ে
আলোকিত ব্রীজ বানিয়ে ফেলতে পারে অন্ধকারে
শুকনো পাতার রস মিশিয়ে
শহুরে তেঁচোখা শরীর চিঠি
পাঠায় ম্যানহোলের নাগরিকে
তাকে প্রশ্ন করো গাছের পথ
হামা দেয় গুড়ি দেয় একার
ছাইপোকা উড়ন্ত উজবুক
উজবুক : ৯
বাসি কারখানা থেকে ঢেকুর
তুলছে বোবাছায়াদের দল
পাঁচিল ফাটা বছরের ঘাম
গুটিপোকার মতন ভূতের
জন্ম দেয় চিৎকার
ভাঙা পায়খানার ভেতর দিয়ে
সেলাই মেশিন গান
নিছক প্রজাপতির ডানার আকার ধারণ করে ছুচিয়ে
যায় প্রচলিত রঙিন মগ
উজবুক:১০
রাতচাপা দিয়ে শুয়ে আছে
তেমাথার কুকুরের স্বপ্ন
আঙুলের ভেতর চালান হচ্ছে
নৈশভোজের আত্মা
মদের তলানিতে কারফিউ শব
দাও কিছুটা ক্যালানে মানুষের
বেসিনের উত্তেজনা
দেশভক্তির সাজানো বমি ভাব
তখনও কানপেতে আছি
রেললাইনের ওপারে না কি
পায়েরা ডাকছে
শবদেহ শব্দ শুনতে পায়
উজবুক
উজবুক