
খোকন মাহমুদ
মাংসের দোকান
এ গলি পার হলেই মাংসের দোকান
কতশত গন্ধ আর আয়েশি মাছি-
উড়ে আসে ভীড়ে
নির্জীব দেহের পাশেই- রক্তাক্ত ছুরির শান…
আমি নিরামিষ থলের ভেতরই ডুবে আছি
কতগুলো মৃত চোখ ঘুমের মধ্যে আসে ফিরে
সবই কি স্বপ্ন, সবই কি সন্দেহ!
কসাইখানায় বেজে ওঠে- জীবন ও মৃত্যুর গান
কেবলই স্বপ্নের পাশেই পড়ে থাকে রক্তাক্ত মাংসের দেহ
অতঃপর একটি প্রেমের কবিতা
তার সাথে আমার দলা দলা শত্রুতা
তার সাথে আমার একমুখী কাঁটা ঝোপঝাড়
বাসি ঘর, এঁটো বাসন- কোসন
তার সাথে এক কামরা, ঘর ভর্তি বিষণ্নতা
তার সাথেই আমার স্বরবর্ণের ঝাঁপ দেওয়া
তার সাথে?
তার সাথেই আমার কিছুই না
পৃথিবীর পর্যাপ্ত এটোম বোমার পাশেই
আমাদের নিরীহ এই কলতলা
চুড়ি- ফিতের দোকান, কবিতা নিয়ে যাচ্ছ তাই
এই রেল লাইন পেরোলেই বালিশ চাপা ঘুম
সূর্যাস্তের খোসায় জেগে থাকা- বেভাজিত বেদানা।
আলোকবর্ষ
হনন করা আলো
রাত্রি জানে ভালো-
কারা ক্রীতদাস
পাতাল ফুঁড়ে হাঁস
কেবল- সন্দেহ, সন্দেহ…
পাথরও কি অন্ধ!
আঙুল জুড়েই দ্বন্দ্ব
তবুও নদীটুকুই থাক
শুধুই নিনাদ, নিনাদ
অন্য আলোক বর্ষ, অন্য কোন গ্রহ…
হাতকড়া
প্রতদিনই অগণ্য জল পড়ে ছাদে
প্রতিদিনই সিঁড়িটা অহেতুক ঘোরানো
কিছু ছায়া কেন গলে পড়ে আহ্লাদে
জানালা, তুমি জানো, তুমি তো সব জানো
আয়নার দ্রোহ থেকে কেন সে পালাতে চায়
রাত্রির কাছেই যেন- গল্পের সব বোঝাপড়া
প্রতিদিনই সিঁড়ি আকাশের দিকে উঠে যায়
মেঘের কাছে জমা থাকে শুধু, বৃষ্টির হাতকড়া
গণীভাই, আমি আর স্কুল পালাবো না
কাঁচা ঘুম মাখা বিশ্বস্ত তরবারি
এসো তাঁকে খুঁজে আনি-
কেনো সে এভাবে পালালো?
আগুন- সত্যিই কী সাবধানী!
অন্ধ পাতাটি তো ঠিকই বোঝালো
আমি অনায়াসে মেঘ হয়ে যেতে পারি
কেবল, জানালার কাছে যে কবিতাটি-
বৃষ্টিতে ভিজে ছুঁই ছুঁই
সে কেবল স্কুল পালাতে জানে
এছাড়া সে শিখেনি কিছুই…