
কুণাল বিশ্বাস
দম্পতি
নিয়ন আলোর মাঝে শুয়ে আছে মথ
তেমনই রাত্তির আজ
তোমাকে আবারও ভুল বুঝি
ভাবি তুমি মৃত পরীদের কথামতো
নিজেও শিশির পান করো অহেতুক
কতদিন, আর কতদিন বলো
এভাবে ভ্রমণ মুলতুবি হয়ে রয়ে যাবে খেদ
বাসের টিকিটে লেপা মারাঠি সিঁদুর
স্মৃতি
আকাশে আকাশ ওগো লাল নীল হেম
ধুম জ্বর সেরে কতকাল বলো আমি
জলের আয়না খুঁজে ছেঁটে ফেলি চুল
তুমি নাও বরাভয় মাটির প্রদীপে
কখনো দিনের শেষে জবাফুল গ্রামে
আমার প্রত্যাশা ছিল মদ
ঘুড়ি ওড়ে ফুরফুরে
তৎসহ খুলে যায় মেঘের নোলক
এখনো রাত্তির হলে সেনাগাড়ি থামে
টিভি থামে ঝুপড়িতে সামান্য গুজবে
ঠিকাদার পাড়া ক্রমে চুপ করে যায়
পড়ে থাকে আঁশবঁটি, পথহারা জলের কামান
অপেরা
কখনো ভোরের দিকে সামগান মনে পড়ে যায়
ওদিকে ডোবা ও পুরনো গোয়াল
রোদ এলে পাখি ওড়ে
ছইঘরে কত লোক, আগুনে ফুঁপিয়ে ওঠে জল
বরফে মাছের মতো ফ্যাকাশে ধানের ক্ষেতে
বাতাস কাঁপিয়ে দূরে ছুটে যায় ট্রেন
ওই দেখো মনমরা হিমাদ্রি কুসুম
খিচুরির ভোগ আর সাদা গলা আতপের ঘ্রাণ
প্রায়শ দিনের শেষে হাত খালি হয়
কীভাবে কোথায় ঝিলের আঁধারে ম্লান
অতসী মালার ফুল আমি তুলে ধরি হাতে
ছইঘরে নাচে জল, আলো কেঁপে ওঠে
পরচুলা ঠিক করে তামাশা ফেরত একা হেঁটে যায় সঙ
আরণ্যক
ফুটেছে নতুন কুঁড়ি, লুডিকাস ফুল
রাত্রির অনেক আগে
ডালরুটি, বুনো কুকুরের ডাক
বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গেছে ঝড়ে
নিভে আসে আলো…
বাগান ফেরত মালিদের ভাষা আর গান
অগত্যা বাড়ির কথা মনে পড়ে যায়