
বেবী সাউ
১.শকুন্তলা
চারপাশে এই শকুন শকুন চোখ; অন্ধকারের মধ্যে ফুটে ওঠা বিরহকাতর কৌমার্যের শীত
অথচ, শীতলতা মাপনের কোনও যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়নি বলে তুমি
কাছে টেনে নিলে
কোরকের ওপর ঢেলে দিলে উত্তপ্ত জন্মবীজ
রক্তপাখির আঁচড়, নখ
সমস্ত স্মৃতিচিহ্নের মধ্যে বেজে উঠল শিশুর আর্তনাদ
একমাত্র মাছের চোখ একেই ভেবে বসল বিবাহ
এইটুকু মন্ত্র
ততদিনে তৈরি আস্ত একটা দেশ
রাস্তাঘাট, পার্কের দোলনা
তখন কোথায় ছিল নিয়মকানুন
দিল্লীর ব্যারিকেড!
২.কালিকা
চোখেতে হারাই আজকাল
অনেক অনেক শ্মশান ভেঙে
রাজপথ ভেঙে
জোগাড় করেছি শেয়ালের উজাগর চোখ
মাথা গুণছে মুণ্ডু
মুণ্ড খুঁজছে লাশের ছবি
ইস্কাবনের বিবির সঙ্গে বিবাহসূত্র পাতছে চেসের সম্রাট
আর্যাবর্তের শৈল্পিক কারুকাজে তুমি পোষ মানাচ্ছ ধ্বংস
আমার দেহে মৃত সন্তানের গন্ধ
স্তনে শত শত পুরুষের লালা, নখ
অথচ, এই যে অজান্তে হলেও
পা-ছাপ এঁকেছি সমাজের বুকে
তুমিও নির্লিপ্ত কেমন জবার মালা ঝুলিয়ে ভাবছ
এই পুজো এই পরমহংস…