
শুভঙ্কর দাশ
১। টি-শার্ট
তখন হয়ত মাহেন্দ্রক্ষণ বা নাও হতে পারে,
আধো জাগরণে দেখি
আমার সমস্তটা জুড়ে বর্মবস্ত্রের মতো
একটা শাদা টি-শার্ট জমিয়ে বসে আছে।
তাতে ক্ষতি ছিল না কিন্তু
হারামিটা করেছে কী আমার থেকে
কীভাবে যেন এক ইঞ্চির দূরত্ব রেখেছে।
অবশ্য এই গরমে আমার কড়া মিষ্টি ঘামের গন্ধ
সবাইতো আর সহ্য করতে পারে না।
আর অদ্ভুতভাবে বেশ নিঃশ্বাস নিতেও পারছি আমি।
ভাবলাম একবার এই টি-শার্টের কবল থেকে
বাইরে বেরিয়ে দেখি
যতই তোমরা বলো না কেন বেরনো বারণ।
আমার প্রিয় টি-শার্ট কিন্তু চুপ করে আছে
কিছুই বলছে না।
আর টি-শার্টের ভেতরটা বড় আলোআঁধারি
আমি তো আবার চোখে দেখি না ঠিকঠাক
তাই আলো চাইতে বেরনো দরকার খুব।
২। ছায়ারা যেখানে কায়া পায়
তুমি লিখেছ আমরা সবাই
ছায়া যুদ্ধের সৈনিক।
যে যুদ্ধ চোখে দেখা যায় না।
বা সেরকম চোখ থাকলে
দেখে ফেলাও যায় কখনো সখনো।
টের পাওয়া যায় মিষ্টি ঘামের গন্ধ।
অবশ্য দেখাতে হবেই এমন কোনও দাবি
আমাদের ছিল কি কোনোদিন?
তোমার কী মনে হয়?
একটা স্বপ্নের শহরে
আমাদের বাসা
ভালোবাসাও বলতে পারো তাকে।
ভালোবাসার শহর হয়ত।
যেখানে হৈহৈ প্রাণ আর হাসি
যেখানে হাত ধরে এগোনোর গল্পগুলো
বাস্তব খুব।
অনেকটা তাজা রোদের মতো।
এই শহরে সবাই তো ঢুকতে পারে না
বা খুঁজে পায় না দরজাটা সারা জীবনে।
অথচ ওই সামনের রং চটা শক্ত অনড় দেওয়ালের মধ্যে
সেই দরজাটা আছে।
ভালো করে তাকাও ঠিক দেখতে পাবে একদিন
সমস্ত মন খারাপ কেটে যাবে
ওই দরজা দিয়ে এই শহরটায় যদি ঢুকে পড়তে পারো।
৩। ডাউন-টাউনের রাস্তারা
তুমি লিখেছিলে
দুঃখ আসলে একটা বোকা ব্যাপার।
কিন্তু আমার এখনো খারাপ লাগে
তুমি ফোন না করলে।
জীবন নিয়ে হয়ত তুমিও ঘেঁটে আছো।
কিন্তু এই লকডাউনের দিনগুলোতে
এত কী করছ তুমি?
বারান্দা থেকে উঁকি মেরে দেখি
ডাউনটাউনের রাস্তারা চুপ করে
একা পড়ে আছে।
এমনকি রাস্তার কুকুরগুলোও নেই
কোথায় গেল ওরা?
তুমি লিখেছিলে
দুঃখ আসলে একটা বোকা ব্যাপার।
কিন্তু অনেক কিছু আছে
যা সারা জীবনেও
শেখা যায় না হয়ত।
৪। গোডোর জন্য