
স্বদেশ মিশ্র
আজ এখানেই
বিকেল মানে হাঁটতে যাওয়া ধু ধু
পালকের সংসারে মাথা রেখে
শুয়ে পড়া অযথাবিহ্বল
আনন্দে মাখামাখি
শিহরণ জল
হ্রদের বুক ছুঁয়ে
ভাসানো কুয়াশা
নির্জন ঋতুকাল
হেমন্ত ডানা বাঁধে
গোধুলীপ্রবাসে
উদগত এসো
উদগীত হই
আজ এখানেই
রাগাশ্রয়ে
বনতলে হংসধ্বনিময়
চেতনার ধর্ম এই
স্নায়বিক
কিছু কিছু
অস্ফুট
বুনে
বুনে
ফেলা
কি যেন কী খুঁজছো তুমি
কি যেন কী খুঁজছো তুমি
নুড়িপাথর অকালবেলায়
চুলের মধ্যে জড়িয়ে যাচ্ছে
একই হাওয়া প্রত্যেকবার
কুয়াশাঘোর
চুপ করে যাও শব্দ শোনো
নীরব তারা ঘনিয়ে উঠুক
অলক্ষ্যজল মেঘলাপলক
ভিজিয়ে যাচ্ছে শব্দনিলীন
আবছায়া ঘুম…
কেমন যেন অলৌকিকে
স্কার্ফে বোনা রৌদ্রসজল
কি যেন কি খুঁজছো তুমি
বনের পথে ছড়িয়ে যাচ্ছে
নির্জনতা
কিছু না
প্রত্যেকটা “কিছু না”-র প্রান্তে
একটা মৌমাছি এসে বসে
এঁকে দিচ্ছে প্রান্তসীমা
সূর্য ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে চাঁদকে
চাঁদ ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে মেঘকে
মেঘ ঢেকে দিচ্ছে পাহাড়কে
আমার কাছে স্বপ্ন মানে
একটা নির্জন ক্যাফেটেরিয়া
হাত, পা, পোশাকের কিছু ক্লোজ আপ
আর কানের পাশ থেকে
ব্লার হতে থাকা
অপ্রাসঙ্গিক নিহিতার্থগুলো
খুব করে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে
কাঠের দেয়াল ছয়লাপ করে
ঘনিয়ে ওঠে লতাগাছ
পার্থিব আলাপচারিতাসমূহ
কখন যেন নীরব ও অপার্থিব হয়ে ওঠে
নির্দেশক হারিয়ে যায় বলে
শুটিং স্পট পড়ে থাকে শুনশান
বেকারির ভেতর থেকে কেক আর রুটির গন্ধ
একটা সুগার কিউবের প্রান্তে একটা
মৌমাছি এসে বসেছে
তুমি বলছো “কিছু না”