
উমাপদ কর
কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
৪৭
ঘৃতকুমারী বলব, না ঘৃতকাঞ্চন!
ভাবনার ঝুরি নেমে লেফট্-রাইট্,
হাসে, ঘোরে, দোলে ব্যালকনির দোলনা।
সম্বোধন-জট দিনে বাল্ব জ্বালে, জিরো।
নতুন ভাইরাসের দুটো ডাক-নাম।
স্যানিটাইজার, শারীরিক দূর-দূর।
তিনটে শালিক হা-ডু-ডু খেলতে নেমে
জ্ঞান দিচ্ছে— একা হও, বড়ো একা একা।
কত আর একা হবে মানুষের কাঁধ!
জানে ঠোঁটে-ঠোঁট ঘন-জঙ্গলের গাছ,
মরুভূমির ফাঁকারা জানে ক্যাকটাস
কতটা ছড়াতে পারে বালি-ঝড় সয়ে!
ভাবনার ভগ্নাংশে এসে কাঁটা-অলা
পাতা নিজেই ‘কুমারী’ বলে ডেকে ওঠে।
৪৮
একান্নটা সিঁড়ি টপকালে আমারটা।
বাঁদিকে সুইচ্, ছুঁয়ে দিলে ঘোড়া-খুর
পুল পেরোবার।
পিয়ানোর গলা ব্যথা
গত সোমবার থেকে, আজ যে কী বার!
খুলে-পড়া মাস্ক দেখে কিচ্ছুটি বোঝার
জো নেই, আসল নকল সো-কল্ড হিরো!
লক্-আনলক্ রুবিক-কিউব খেলছে
দরজাটা, ঘুম ভেঙে বিউগল মুখে
গোটা ফ্ল্যাট পাঁপা-পা-পাঁপা পা-পাঁপা-পুফ্।
টোটকা একটা দাও কিছু আদা কাঁচকলা
পিয়ানোর কাশি একঘেয়ে ঘং-ঘক।
কাঁহাতক পোষা যায় পড়শি ফেরুক?
একান্নটা ধাপ নেমে গেলে রাস্তা, বাঁয়ে
ম্যাপ ও সীমান্ত, ডানে কুড়িটা কফিন।